22 C
Dhaka
Wednesday, February 19, 2025

বাবারে আমি ছারুম না: মতিউরের মেয়ে ইপ্সিতা

একে একে সবই হারাচ্ছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এবার তাঁর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তারই মেয়ে কানাডা প্রবাসী ফারজানা রহমান ইপ্সিতা।

ইপ্সিতা তার স্বজনের কাছে ভয়েজ মেসেজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, ‘আল্লাহর কসম, বাবারে আমি ছারুম না। সে আমারে ধোঁকা দিছে (দিয়েছে), আমার মারে (মাকে) ধোঁকা, আমার ভাইরে ধোঁকা দিছে। আমি তারে ছারুম? জীবনেও না। ’

ইতোমধ্যে বিশ্বখ্যাত ম্যাকলারেন ব্র্যান্ডের বিলাসবহুল গাড়ির ছবিসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছেন এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম পক্ষের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপ্সিতা।

আরও পড়ুনঃ  ৬০ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল মিয়ানমার নৌবাহিনী

যে বাবার কল্যাণে কানাডায় তার বিলাসী জীবন, সেই বাবাকেই এখন ছেড়ে কথা বলছেন না। স্বজন-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে চালাচালি হওয়া তার একাধিক ভয়েজ মেসেজের ক্লিপ এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।

ছাগলকাণ্ড ভাইরাল হওয়ার প্রসঙ্গে ভয়েজ মেসেজে ইপ্সিতা বলেন, মানুষের দোষ তো নাইরে ভাই। দেশের মানুষ তো আসলেই কষ্ট করে। এই লোকটা আমার মারে এত বড় চিট করল ভাই। আমি এক মিনিট পরপর আমার মার (মায়ের) সঙ্গে কথা বলতাছি (বলছি)। আমার মা হাউমাউ করে কান্দে (কাঁদে)। আমার ভাই কান্দে। আমার ভাই আমারে বলে, বাপ আমাদের কখনো ভালোবাসে নাইরে আপু। ভালোবাসলে সে এইভাবে চিট করত না।

আরও পড়ুনঃ  রোববারের পর আর সময় পাবেন না বেনজীর: দুদক আইনজীবী

তিনি বলেন, মানুষের রাগ তো আমি বুঝতে পারছি। বিকজ আপনারা অনেক ভুক্তভোগী। এই…সরকার। আল্লাহ মাফ করুক, আসলেই ভুক্তভোগী। কিন্তু আমার ফ্যামেলি, আমার, আমার মা-ভাইয়ের কোনো দোষ এখানে ছিল না ভাই।

ভয়েস মেসেজে বাবা মতিউরকে উদ্দেশ করে ইস্পিতা বলেন, তার আছে অনেক। আমি জানি টাকাপয়সাও ইলিগ্যাল না। তার ভালো ফ্যামেলি। বিয়াও করছিল ভালো ফ্যামেলির মাইয়া (মেয়ে)। তাইলে ভালো ফ্যামেলির মাইয়ারে বিয়া (বিয়ে) কইরা (করে) তুই রাখতে পারলি না। তোর এত খারাপ লাগছে, আমার মারে ছাইড়া তুই চইলা যাইতি। তুই আমাদের চিট করলি কেন। তুই তোর চাকরি বাঁচাইতে পারবি, টাকা বাঁচাইতে পারবি। কিন্তু তুই যে আমাদের ধোঁকা দিছোস, এইটা আমরা কী করুম। আমরা কই যামু (যাব), কারে মুখ দেখামু (দেখাব)।

আরও পড়ুনঃ  কাঁদলেন ড. ইউনূস

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসার পর এনবিআর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মতিউরকে। হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদও। মঙ্গলবার ফ্রিজ করা হয়েছে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের বিও অ্যাকাউন্ট। একইধরণের টালমাটাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাঁর পরিবারেও। দ্বিতীয় বিয়ের কথা সামনে চলে আসায় দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পরিবারের মধ্যেই।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ