22 C
Dhaka
Friday, February 21, 2025

মসজিদ ভেঙে তৈরি রামমন্দিরে ফাটলের পর ধস নামলো ‘রামপথে’

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বেহাল ভারতের ‘রামনগরী’ অযোধ্যা! রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ ফেটে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়ার খবরের পর এবার জানা গেল, ধস নেমেছে ‘রামপথে’ও।

বুধবার (২৬ জুন) রাতের ওই ঘটনার জেরে রামমন্দিরে যাতায়াতের মূল পথ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল থেকে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করেছে অযোধ্যা জেলা প্রশাসন।

গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দির উদ্বোধন করেছিলেন। তার আগেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ‘যুদ্ধকালীন তৎপরতা’য় হনুমানগড়ী থেকে রামমন্দিরগামী সঙ্কীর্ণ পথটিকে দু’পাশের বাড়িঘর ভেঙে চওড়া করেছিল। নাম দেয়া হয়েছিল ‘রামপথ’।

আরও পড়ুনঃ  শুক্রবার থেকে ভারতে অবৈধ শেখ হাসিনা, দিল্লির সিদ্ধান্ত কী?

কিন্তু পাঁচ মাসের মাথায় প্রথম বৃষ্টিতেই ধস নামায় সেই রাস্তার মান নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সোমবার রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে জানান মন্দিরটির প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস।

ওই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘প্রথম বৃষ্টিতেই রামলালার মূর্তি স্থাপন করা গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে। বিষয়টিতে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং কী ঘাটতি রয়েছে, তা খুঁজে বের করে মেরামত করা উচিত।’

আরও পড়ুনঃ  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া!

মন্দিরের নিকাশি ব্যবস্থা অপ্রতুল বলেও সোমবার অভিযোগ করেন সত্যেন্দ্র। বলেন, ‘মন্দির থেকে পানি বের হওয়ার কোনও জায়গা নেই। বৃষ্টি আরও বাড়লে মন্দিরে পূজার্চনা করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’

তবে এরপর মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র দাবি করেন, রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ত্রুটি নেই।

মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে মানের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি। কিন্তু মন্দিরের বিদ্যুতের তারের পাইপগুলো বেয়ে পানি ভেতরে চলে আসছে। আর সেটাই চুঁইয়ে পড়ছে।’

আরও পড়ুনঃ  রইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা: ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে যা বেরিয়ে আসলো

আরও পড়ুন: ১৫ কেজি সোনা, ১৮ হাজার হিরাসহ রামমন্দির নির্মাণে ব্যয় কত

এ প্রসঙ্গে নৃপেন্দ্র মিশ্র জানান, ভক্তরা যাতে বৃষ্টিতে ভিজে না যান কিংবা প্রখর রোদে তাদের যাতে কষ্ট না হয়, সে জন্য অস্থায়ী নির্মাণকাজ করা হয়েছে। তার আশা, গোটা মন্দিরের নির্মাণকাজ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।

সূত্র: আনন্দবাজার, এই সময়

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ