22 C
Dhaka
Thursday, February 20, 2025

বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থা খুঁজছে ব্যাংকগুলো

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিলে গত ১৮ জুলাই রাতে সব ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় সরকার। এতে দেশের ব্যাংক খাতসহ ইন্টারনেট অবকাঠামোভিত্তিক সব সেবাই বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়েছে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের বিকল্প মাধ্যম খুঁজছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যে মাধ্যম ব্যবহার করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পরও সব ধরনের ব্যাংক সেবা দেওয়া যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংক এমডিদের বৈঠক শেষে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বিকল্প নিয়েও চিন্তা করতে হবে। আমরা উন্নত দেশ হওয়ার আগেই ব্যাংকসহ অন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলোর জন্য আলাদা সার্ভিস লাইন থাকা প্রয়োজন। কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আর ব্যাংক একই লাইনে চলবে, এটা তো হওয়ার কথা নয়। আমাদের এমন লাইন করা দরকার, যেন ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেলেও ব্যাংকের কার্যক্রম চলে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকের জন্য আলাদা ব্রডব্যান্ড লাইনের মতো লাইন গড়ে তোলা দরকার।’

আরও পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে বছরে ৬৬ কোটি টাকা লোকসান

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, ‘ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের কিছু এটিএম ছাড়া অনেক সেবা বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনই আমাদের বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে আমাদের ম্যানুয়ালি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো যায় কি না, সেটা নিয়েও চিন্তা করা দরকার।’

তথ্য বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বড় কোনো আন্দোলন জন্ম নিলেই বন্ধ করা হচ্ছে ইন্টারনেট। এতে ইন্টারনেটভিত্তিক সব সেবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে, ব্যাংক সেবাই বড় বিঘ্ন দেখা দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইন্টারনেটের বিকল্প হিসেবে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এই বিকল্প খুঁজে বের করার আগে ইন্টারনেট বন্ধ হলে ম্যানুয়ালি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রিজার্ভ চুরি: ৭৯ বার পেছানো হলো তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ

সূত্র বলছে, গত ১৮-২৩ জুলাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরামর্শে বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগ। ইতিমধ্যে তারা এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছেন, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে গভর্নরের কাছে দেওয়া হবে। এরপরই সরকারের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করবে আর্থিক খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারণত আন্দোলন শুরু হলে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে। এর মাধ্যমে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করতে চায়। কিন্তু আমাদের সব ধরনের ইন্টারনেট ব্যবস্থা একই ধারায় চলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করতে ইন্টারনেট বন্ধ করলেই সব ধরনের পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তাই আমরা বিকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছি।

আরও পড়ুনঃ  ব্যাংকের লকার থেকে এবার দেড়শ ভরি সোনা গায়েব
সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ