নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্র-শিক্ষকসহ সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শুক্রবার (০৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জানা যায়, গত ৭ আগস্ট নোবিপ্রবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালক, হল প্রভোস্টদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের দাবিসহ চার দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোবিপ্রবি শাখার সমন্বয়কেরা।
এরমধ্যেই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নোবিপ্রবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাইমেনুল ইসলাম, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. রুহুল আমিন, হযরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তী বড়ুয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. মহিনুজ্জামান। এ ছাড়াও শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় ছাত্র-শিক্ষকসহ সব রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের জরুরি সভায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (১১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খোলা হবে এবং ১৩ আগস্ট থেকে অনলাইন ক্লাস ও ২৫ আগস্ট থেকে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।