সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করা হয়েছে। ভারতে যাওয়ার সময় শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ডনা এলাকা থেকে তাঁকে আটক করেছে বিজিবি। সীমান্তে একটি জঙ্গলে কলাপাতায় শুয়ে ছিলেন মানিক।
বিচারপতি মানিক বিজিবির হাতে আটক হওয়ার আগে তার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মানিক জঙ্গলের ভেতরে কলাগাছের পাতায় শুয়ে আছেন। ভিডিওতে বিচারপতি মানিককে একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। তার কথায় মনে হচ্ছে, তখন তিনি ভারতের মধ্যে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় তার সামনে অবস্থান করা একজনকে মানিক বলছেন, ‘আমি তোমাদের পয়সা দিয়ে দেব। পয়সা আমি দেব, আমার ভাই-বোন দেবে। জবাবে ওই ব্যক্তিকে (যাকে ভিডিওতে দেখা যায়নি) বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের পয়সার প্রয়োজন নাই। আপনার সেফটি….। এ সময় বিচারপতি মানিকের পাশে টুপিও ছিল।
এরপরই মানিক বলেন, ‘ওই ফালতু লোক দুটাকে আনিও না। আমি এ দেশে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য’।
অপরদিকে বিচারপতি মানিককে আটকের পর আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা তার পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় স্বীকার করে মানিক বলেন, ‘আমি বিচারপতি মানিক’।
দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে আমি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছি’।
সঙ্গে কী আছে জানতে চাইলে মানিক বলেন, গতকাল আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে দুজন। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা আছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে জিয়াউর হক নামে এক আইনজীবী মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর একটি টক শোতে জিয়াউর রহমানকে রাজাকার এবং যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিহিত করেন।