26 C
Dhaka
Saturday, February 22, 2025

কেন দেশে ফিরতে পারছেন না পিনাকি ভট্টাচার্য?

বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে পিনাকি ভট্টাচার্য একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্যারিসে বসবাস করছেন। ‘‘ভারত খেদাও’’ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় তিনি বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনার পতন নিয়ে নানা ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে দেশব্যাপী আলোচিত ছিলেন তিনি। অনেকেই ধারণা করেছিলেন শেখ হাসিনার পতন হলে তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন। তবে নানা জটিলতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশে ফিরতে না পারা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বগুড়ার এই কৃতিসন্তান। নিচে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য পিনাকি ভট্টাচার্যের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আরও পড়ুনঃ  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিছিল থেকে আটক ৩

‘‘আমি কেন এখন বাংলাদেশে আসতে পারতেছি না?
বিষয়টা বুঝায়ে বলি। আমি ফ্রান্সে পলিটিক্যাল রিফিউজি। আমার স্ট্যাটাস রিফিউজি। আমি রাষ্ট্রহীন। আমার বাংলাদেশী পাসপোর্টও নাই। আমাকে রিফিউজি স্ট্যাটাস দেয়া হইছে কারণ আমি তাদের বলছি হাসিনা থাকার কারণে আমার জীবন নিরাপদ না বাংলাদেশে। তারা এইটা মাইন্যা নিয়া আমারে রিফিউজি বানাইছে।

আমার রিফিউজি স্ট্যাটাসের সাথে যুক্ত আমার রেসিডেন্স পারমিট। তারা কইছে এইবার করে কম্মে খাও। আমি করে কম্মে খাই। কোথায় কাজ করি কী কাজ করি আপনাদের আমি বলছি। আমার পুত্র এইখানে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আমার পোলা হিসেবে সেও একটা রেসিডেন্স পারমিট পাইছে। আমার স্ত্রীও পাইছে। এখন আমি যদি ফরাসী সরকারের কাছে আমার পাসপোর্ট ফেরত চাই তাইলে দুইটা সমস্যা। এক নাম্বার সমস্যা আমার রিফিউজি স্ট্যাটাস আর থাকবে না। আমারে কইবে তুমি দেশে ফিরে যাও তোমার হাসিনা ডার্লিং তো নাই। আমি আমার রেসিডেন্স পারমিট হারাইতে পারি। নাও পারি হারাইতে কিন্তু অল্প হলেও রিস্ক থাকে যে আমার রেসিডেন্স পারমিট আমি হারাইতে পারি। আমি এই ঝুকির মধ্যে যাইতে চাই না।

আরও পড়ুনঃ  ঢাবির প্রশ্নে ‘ফ্যাসিস্টের পতন, ড. ইউনূস, খালেদা জিয়া, আবু সাঈদ’

দুই নাম্বার সমস্যা এই প্রসেসটা দীর্ঘ। কম করে হলেও ছয় মাস থেকে এক বছর। এক বছর যদি অপেক্ষাই করতে হয় তার চাইতে আমার এই সময়ে ফ্রেঞ্চ ন্যাশনালিটি নিয়ে নেয়া ভালো। এই সময়ে ন্যাশনালিটি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ সরকার যদি ফ্রেঞ্চ সরকারকে কইতো ওরে ইমিগ্রান্ট বানায়ে দাও ওর নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। তাইলে আমি আগামীকাল দেশে ফিরতে পারতাম। এইটা পাঁচ মিনিটের কাজ।
এই কাজ প্রফেসর ইউনূসের সরকার করার টাইম পায়না বা করতে চায়না। ফেয়ার এনাফ। আমি ফ্রেঞ্চ পাসপোর্ট পাই তারপরে ফিরবো। কিন্তু আপনারা মনে রাইখেন আমার লগে এইটা করা হইছিলো। আমি কোন ফেভার চাইতেছি না। আমি সরকারকে ফেভার করতেছি, এইটা মাইন্যা আমারে ফিরাইতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আমারে যদি মাঠে দরকার না লাগে। করেন কাম। ডেইলি মাঠে গেঞ্জাম সামলান।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ