22 C
Dhaka
Wednesday, February 19, 2025

হাসিনার জন্য জেলের দরজা খোলা আছে বলে পোস্ট ডিলিট করলেন আসিফ

বাংলাদেশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ফোনালাপ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে হাসিনার সাথে তানভীর নামে কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের এক নেতার কথোপকথন শোনা যায়। এক পর্যায়ে হাসিনা তানভীরকে বলেন, ‘আমি দেশের খুব কাছেই আছি যাতে চট করেই ঢুকে পড়তে পারি।’ এরপর মুহূর্তেই এই লাইনটি ভাইরাল হয়।

ভাইরাল সেই লাইনটি নিয়েই এবার হাসিনাকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘যাতে চট করে ঢুকে যেতে পারি’। আসুন প্লিজ, জেলের দরজা খোলা আছে।’

আরও পড়ুনঃ  এমপি আনার হত্যাকাণ্ড নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

তবে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক মিনিট পরই সেটি ডিলিট করে দেন আসিফ মাহমুদ। তবে আসিফ মাহমুদের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

তানভীর নামে কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের ওই নেতার কথোপকথনের রেকর্ডে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, তিনি দেশের খুব কাছাকাছি রয়েছেন।

তানভীর নামের ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘বাংলাদেশ থেকে একটা ভিডিও নিউজ আসছে আপা, সেখানে বলা হয়েছে আপনাকে নাকি হেলিকপ্টার দিয়ে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করেছে। খুব কষ্ট হয় আপা। আপনি বললে আমি এই মুহূর্তেই দেশে চলে আসব।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনার পতনে বাংলাদেশে অনিশ্চিত ভারতের ভবিষ্যৎ

তানভীরের কথা শুনে শেখ হাসিনা জানতে চান, ‘কোথায় নিয়ে গেছ? হেলিকপ্টারের ছবি দিয়েছে? আজগুবি কথা বলে এরা। আমি কিন্তু দেশের খুব কাছেই আছি। যেকোনো সময় চট করে ঢুকে পড়তে পারি। কিন্তু এখন তুমি দেশে গেলে মামলা খাবে। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টি মামলা হয়েছে। এটা কোন ধরনের কথা? আমার মনে হয় সবার কাছে এটা বলার দরকার। আমার পরিবারের কেউ বাকি নাই। সবার নামে মামলা দেয়া হয়েছে।’

ওই নেতা আরও বলেন, ‘আপা আপনার কাছে কল দিয়েছি, এমদাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা এখানে (বিদেশে) মিটিং মিছিল করতেছি কিন্তু কেরানীগঞ্জের অবস্থা খুব খারাপ আপা। সব নেতাকর্মী এলাকার বাইরে। যতটুকু পারছি, যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাহায্য করতেছি। এখন আপনি যদি বলেন এখান থেকেই তাদের সাহায্য করতে তাহলে সেটা করব। আর যদি বলেন যে না দেশে গিয়ে একটু গোছানোর চেষ্টা করতে সেটা করব।’

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে সুইস ব্যাংক থেকে আমানত সরাচ্ছেন বাংলাদেশিরা

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব মাডার কেস, আর কিছু না। এখন এখানে বসে তুমি সাহায্য কর সেটা সব থেকে বেশি কাজে লাগবে। আরেকটু পরে গেলেই হবে।’

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ