27 C
Dhaka
Thursday, February 20, 2025

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর, ভারতের সূর পরিবর্তন

বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০ পেয়াজ আমদানীকারক দেশ। আবার শীর্ষ ১০ উৎপাদনকারী দেশও বাংলাদেশ। বাংলাদেশে পেঁয়াজের সংকট হলে প্রতিবেশি দেশ ভারত শুল্ক বাড়িয়ে দিয়ে ৪০% করে তার অবস্থান পরিবর্তন করে। বোধগম্য কোনো কারণ ছাড়াই ২০১৯ সালে ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা পর‌্যন্ত হয়ে যায়।সম্প্রতি ভারতের এই অবস্থান পরিবর্তন করে শুল্ক ২০% করা হয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা পিটিআই।

জানা গেছে, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে। পাশাপাশি মিশরের বাজারে ক্যানসারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা নিতে পারেন। সম্প্রতি ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুনঃ  অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুদেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজনের পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।

মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০বছর পূর্তি হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনও আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি, যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮০.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিশর হতে পেট্রোকেমিক্যাল এবং সার আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, মিশরীয় তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে তার দেশের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পখাতে ক্রমাগত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং মিশরের বাজারে ক্যানসারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা গ্রহণ করতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশকে বড় সুখবর দিলো চীন

তিনি বলেন, সুয়েজ খাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য ইউরোপসহ সমগ্র পৃথিবীতে রপ্তানি হচ্ছে, তবে মিশরকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট হাব’ হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে আফ্রিকার বাজারে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। এছাড়াও, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে বলে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি এবং সুস্বাদু আম ইউরোপসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে, যা মিশরেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ হতে তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ প্রভৃতি পণ্য বেশি হারে আমদানির জন্য মিশরের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ  পাকিস্তানের কাছে ৪০০ কিমি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র চাইছে বাংলাদেশ

সেই সঙ্গে বিশেষ করে বাংলাদেশের নদীভিত্তিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মিশরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং বাংলাদেশস্থ মিশর দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোহেলা মাহরিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানীর খবরে ভারত নড়েচড়ে বসেছে। পরিবর্তন করেছে তাদের পেঁয়াজ রপ্তানির নীতি। ভারত সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পিটিআই খারতের এই অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ