22 C
Dhaka
Wednesday, February 19, 2025

সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের বড় সমস্যা : সারজিস

গত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তবে এমন পরিস্থিতিতে হাসনাতের পাশে দাঁড়ালেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম।

সমালোচনাকারীদের একহাত দিয়ে হাসনাতের প্রশংসা করেন সারজিস।

তিনি বলেন, এই মাথা গরম ক্ষ্যাপা ছেলেটার (হাসনাত আব্দুল্লাহ) দোষ হচ্ছে যখনই কোথাও অস্থিতিশীল অবস্থা দেখা দেয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়, তখনই এ কোনো কিছু চিন্তা না করে সমাধানের জন্য ছুটে যায়। হোক সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ কিংবা অন্য কোথাও।

আজ সোমবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এসব কথা বলেন হাসনাত।

কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

আরও পড়ুনঃ  বিদ্যুৎ পরিস্থিতি কবে হবে স্বাভাবিক? যা বললেন অর্থ উপদেষ্টা

আশপাশে এমন বহুত শত্রু আছে, যারা সুযোগ পেলে খুন করে ফেলবে, এইটা জানার পরেও মবের মধ্যে ঢুকে মারামারি থামানোর কথা বলতে হেডম লাগে।

অন্য কেউ এই সাহস করে নাই। সাহস করেছে Hasnat Abdullah. সাহসটা করার জন্য হাসনাতকে মাথায় তুলে ফেলতে হবে সেটা বলছি না, তবে ন্যূনতম এপ্রিশিয়েটটা অন্তত করতে শেখেন। হয়তো ফলাফল প্রত্যাশিত হয়নি, কিন্তু এর চেয়েও খারাপ কিছু হতে পারত। সবচেয়ে বড় কথা— উদ্দেশ্য সৎ ছিল ৷

এই ছেলেটার সমস্যা হলো, ওর মাথা গরম আর সব সময় গ্রেটার পার্পেপেক্টিভ চিন্তা করে।

কিন্তু সত্যি এটাই যে মাথা গরম বলেই সেই জুলাইয়ে ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজা শেষে যখন সবাই পুলিশের টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড আর ছররা বুলেটে দিগ্বিদিক ছুটে যাচ্ছিল, তখন এই ছেলেটা সর্বপ্রথম স্রোতের বিপরীতে গিয়ে ওই পুলিশের দিকে দুই হাত প্রশস্ত করে এগিয়ে যায় আর বলে “we are open to killed”!

আরও পড়ুনঃ  ভারত কেন শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না?

ঠিক যেমনিভাবে গতকাল গিয়েছিল। এই ছেলেটাই সেই জুলাইয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে রাজাকার রাজাকার মিছিলের সামনের সারিতে মাঝখানে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, যখন অনেকেই নিজেকে সেফ জোনে রেখেছিল। এই ছেলেটাই সর্বপ্রথম এবং একা সচিবালয়ে আনসার লীগের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামে এবং পরবর্তী সময়ে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় সচিবালয় অনেকটা সুরক্ষিত হয়ে ওঠে।

এই মাথা গরম ক্ষ্যাপা ছেলেটার দোষ হচ্ছে, যখনই কোথাও অস্থিতিশীল অবস্থা দেখা দেয়, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যায়, তখনই এ কোনো কিছু চিন্তা না করে সমাধানের জন্য ছুটে যায়। হোক সেটা ক্যাম্পাস, রাজপথ কিংবা অন্য কোথাও ৷

আপনারা যারা শুধু ঘরে বসে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলতে পারেন, তাদের মতো সেইফ গেম প্লে না করতে পারাটা হাসনাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা ৷ কিন্তু তিক্ত সত্য এটাই যে, এই মাথা গরম স্বভাবওয়ালা ক্ষ্যাপা তরুণ প্রজন্মের কারণেই এই নতুন বাংলাদেশ।

আরও পড়ুনঃ  বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চতর কমিটি করার প্রস্তাব ড. ইউনূসের

কতজনের এখন কত রকম স্বার্থ আর ধান্ধা সেটা আমরা বুঝি, অপ্রত্যাশিত কিছু হলে এরা যে আবার গর্তে যাবে সেটাও জানি ৷ কিন্তু দিনশেষে চোখের সামনে রক্ত আর হাজারো জীবনের বিনিময়ে অর্জিত নতুন স্বাধীনতা রক্ষা করতে হাসনাতরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ৷

আপনাদের মতো গুটিকয়েক ভণ্ড, সুবিধাবাজ, কালপ্রিট কি বলল আর কী বিহেভ করল, তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না । হাসিনার পোষারা এর চেয়ে কম বলেনি বা করেনি ৷ মিনিমাম কমনসেন্স থাকলে বোঝা উচিত কারা করছে, কেন করছে। রকেট সায়েন্স না বোঝাটা।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ