ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি একট টাকাবাড়িয়ে ১০৫ টাকা, অকটেন ও পেট্রোলের দামও ১ টাকা করে বাড়িয়ে যথাক্রমে ১২৬ ও ১২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সাথেসামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আলোকে নির্বাহী আদেশে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে ডিসেম্বরে ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম লিটারে ১ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই সময়ে অকটেন ১২৫ ওপেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়।
সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে আইএমএফ এর চাপও রয়েছে।
“জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা” প্রজ্ঞাপনগত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মুলাঅনুযায়ী প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয়করার কথা। গেজেট অনুযায়ী বিপিসি ও অন্যদের কমিশনঅপরিবর্তিত থাকবে শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতি মাসে কমবেশি হবে।
অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেন এর মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেল এর সাথে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সে জন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।
আর নজীর বিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারিকরা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবংপেট্রল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩৫টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দামবৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তারপুর্বে ২০২১ সালের নভেম্বর প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।