26 C
Dhaka
Wednesday, February 19, 2025

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনগুলো জনগণ, রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের কাছে দিয়ে দেব। যাতে তারা একমত হতে পারেন; কী করলে তাদের ভালো হবে। আমি আশা করি সবাই মিলে প্রস্তাবগুলো এক মনে গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করবে।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেন বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা।

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সম্পদ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বিশ্বের জন্য অবদান। সব জাতিকে সংস্কার সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। যারা সংস্কার নিয়ে চিন্তা করবেন, তখন তারা দেখবেন কী বাদ গেল। তারা যখন তাদের দেশের জন্য চিন্তা করবেন বা প্রস্তাব আনবেন, তখন এগুলো খতিয়ে দেখবেন কী প্রস্তাব আছে, কী সুপারিশ রয়েছে।’

আরও পড়ুনঃ  ভয়ংকর চ্যালেঞ্জে ইসরায়েল, ফিলিস্তিনের গোপন তথ্য ফাঁস

সংস্কার কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জাতির সম্পদ ও পৃথিবীর সম্পদ হিসেবে আমি রিপোর্টগুলো গ্রহণ করলাম। এ কাজ ইতিহাসে স্থান করে নেবে।’

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে যে, নাগরিক হিসেবে আমাদের যেসব দাবি আছে, অধিকার আছে, সেগুলো ভুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা। তবে আশার কথা হচ্ছে যে, আমরা প্রতিদিন নাগরিক অধিকার হতে যেভাবে বঞ্চিত হই, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেই বঞ্চনা থেকে আমরা মুক্তি পাব। সত্যিকারভাবে নাগরিক হিসেবে অধিকার ফিরে পাব। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আজ ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি

বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই দুটি ক্ষেত্রে সংস্কার হলে, বাংলাদেশের সকল নাগরিককে তা স্পর্শ করবে। অন্যান্য কমিশনের বড় বড় লক্ষ্য থাকতে পারে, কিন্তু সেগুলো সরাসরি তাদের স্পর্শ করে না। ধনী, গরিব বা মধ্যবিত্ত౼ যে-ই হোন না কেন, এই দুটির সঙ্গে আপনাকে সম্পৃক্ত হতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনকে বাংলাদেশের ইতিহাসের স্মরণীয় পুস্তক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা বহুজনের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আপনাদের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা সবকিছুর সংক্ষিপ্তসার আকারে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসের একটা স্মরণীয় পুস্তক এটি। এই প্রস্তাবের কতটুকু বাস্তবায়ন করেছি-ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তা নিয়ে আমাদের বিচার করবে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় বিষয়, এটা রেফরেন্স পয়েন্ট হিসেবে থেকে যাবে।’

আরও পড়ুনঃ  রিমান্ডের তৃতীয় দিন, প্রশ্ন করলেই হাসেন আনিসুল হক

বিদেশিদের কাছে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবগুলো তুলে ধরার জন্য তিনি প্রতিবেদনগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করার আহ্বান জানান।

গত ৮ আগস্ট সরকার গঠন করার পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এর মধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ এবং সংবিধান সংস্কারে গঠিত কমিশন প্রধানরা উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

সর্বশেষ সংবাদ
জনপ্রিয় সংবাদ