সোমবার ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিম্মিদের দেয়া ‘উপহারের ব্যাগে’ তাদের বন্দিদশায় থাকা ছবি, গাজার ছবি এবং একটি ‘প্রশংসাপত্র’ ছিল।
একটি ভিডিও চিত্রে দেখা গেছে, উপহারের ব্যাগ হাতে নিয়ে তিন জিম্মি হাসছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। একটি অংশ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এটিকে হামাসের ‘নিষ্ঠুরতা’ বলে অভিহিত করেছেন। তবে হামাস সমর্থকরা এ ঘটনায় উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
কাতার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মিশরের মধ্যস্থতায় রোববার গাজায় ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় তিন ইসরাইলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিনিময়ে ৯০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল।
আরও পড়ুন: ‘কিছুই অবশিষ্ট নেই, চারদিকে শুধু ধ্বংসস্তূপ’
মুক্তি পাওয়া তিন ইসরাইলি জিম্মি হলেন ২৮ বছর বয়সি এমিলি দামারি, ২৪ বছর বয়সি রোমি গোনেন এবং ৩১ বছর বয়সি ডোরন স্টেইনব্রেচার। মুক্তি পাওয়ার পর তাদের চোখেমুখে আনন্দাশ্রু দেখা গেছে। রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাজারো ইসরাইলি তাদের বরণ করে নিয়েছে। আপাতত তারা কয়েকদিন হাসপাতালে থাকবেন বলে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এমিলির মা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘৪৭১ দিন পর এমিলি অবশেষে বাড়ি ফিরে এসেছে। তবে অনেক পরিবার এখনো তাদের স্বজনদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
স্টেইনব্রেচারের পরিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘হামাসের বন্দিদশায় ৪৭১ দিন বেঁচে থাকা আমাদের বীর ডোডো আজ আমাদের কাছে ফিরে এসেছে।’