সোশ্যাল মিডিয়া মানেই এখন গুজব দড়িয়া। সেই দড়িয়ার কোনটি সত্য, কোনটি মিথ্যা—বিশ্বাস করাই যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে গুজবের ছড়াছড়ি নতুন কিছু নয়। কেননা দেওয়ালের মাঝে বসে যা খুশি তাই লিখে ফেলা যায়, তা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হোক কিংবা না হোক। আজ (২৩ জানুয়ারি) তেমনই একটি রাত কাটালো নেটিজেনরা। গুজবে গুজবে যেন সয়লাব পুরো দেশ।
আর এই গুজবের উৎপত্তিস্থল গণহত্যার দায়ে নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন নামে সন্ত্রাসীদের সংগঠন ছাত্রলীগ এর প্রেতাত্মা সিদ্দিক নাজমুল আলম। গতকাল রাতে এই গুজবলীগের নেতা পরপর ৩টি পোষ্ট করেন যার সবগুলোই গুজব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে নাজমুল আলম লেখেন, দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক। ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেনাবাহিনী। আসিফ নজরুল এখন কোথায়? কাউকেই দেশ ছাড়তে দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এমন গুজবের সয়লাব ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। গতকাল রাত ১ টা ৩৫ মিনিটে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘সব ভাগতাছে কেন?’
ঠিক তার ঘন্টাখানিক পর আরও একটি নাজমুল আলম যেখানে তিনি দাবি করেন সার্জিস আলম ব্যাংকক গিয়েছে এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লায় অবস্থান করেছে পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন যে, উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দুবাই। এর মাধ্যমে ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে সমন্বয়ক এবং উপদেষ্টারা পালিয়ে গেছেন এমন ইঙ্গিত দেন।তার ঠিক নয় মিনিট পর আরো একটি স্ট্যাটাস দেন নাজমুল। এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর আসিফ নজরুল কোথায়?
গণহত্যার আসামী, ফ্যাসিস্ট-দালালদের এমন গুজব ছড়ানো এবং কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া সেগুলোকে গণহারে শেয়ার করায় ব্যাপক সমালোচনা এবং হাস্যরসের শিকার হয়েছেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম সহ আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বাংলাদেশের ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদর উদ্দিন শিশির নাজমুল আলমের পোস্ট শেয়ার করে লিখেন, ‘ভোর রাতে ঘুম ভাঙ্গার পর টের পেলাম ঢাকার রাস্তায় কোন মানুষ নেই সবাই পালিয়ে গেছে শহর ছেড়ে। আমিও সকালে ঢাকা ছাড়বো। এদিকে নাজমুল ভাইয়ের সাথে জামাতে তাহাজ্জুদ আদায় শেষে ভোর ছয় টায় ধানমন্ডিতে ফুল দিতে যাবে বড়াপা।’
এ প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন সাংবাদিক শাহেদ আলম। তিনি লিখেছেন, ‘আপার লোকজনের নাকি রাতে ভালো ঘুম হয়নি ঘটনা কি কিছু কি মিস করলাম?’ এদিকে রাতভর এমন গুজব নিয়ে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন,“রাতেই উপদেষ্টারা সব পা’লায়ে গেছে…হাসি আপারে বলেন দেশে চলে আসতে”
আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী আল জোবায়ের লিখেছেন, ‘লাইলাতুল গুজব দেখে ঘুমটাও ভালো হয়েছে। সকালটাও খুব সুন্দর, ঘুম থেকে উঠুন…।’ সাব্বির আহমেদ লিখেছেন, ‘তাইলে শেষ পর্যন্ত কে কোথায় পালালো? ময়ুখ রঞ্জনের সবশেষ তথ্য কী বলছে? বিস্তারিত কেউ বলতে পারবেন?’
মো. শাওন মাহমুদ লিখেছেন, ‘কী দিন আইলো, এরা ঘুমের ঘোরেও সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে!’ সৈয়দ আল হাসান শিমুল একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘কাল সারারাত ছিল গুজবের রাত