একদিকে শুয়ে রোগী, কাতরাচ্ছেন বুকের যন্ত্রণায়। অন্যদিকে মোবাইলে রিল দেখতে ব্যস্ত ডাক্তার। রোগী পরিবারের আবেদনকে তোয়াক্কা না করেই রিলে মনোনিবেশ করার অভিযোগ ওঠে ওই কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে। পরে মৃত্যু হয় রোগীর। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। যা সামনে আসার পর রীতিমতো হইচই পড়েছে।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের মহারাজা তেজ সিং জেলা হাসপাতালের। ৬০ বছরের প্রবেশ কুমারী বুকের যন্ত্রণা নিয়ে ইমার্জেন্সি বিভাগে যান। ডঃ আদর্শ সেঙ্গার সেসময় কর্তব্যরত ছিলেন। স্ট্রেচারে করে নিয়ে এসে তাঁকে হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগের একদিকে শোয়ানো হয়।
পরিবারের অভিযোগ, তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করায় প্রবেশ কুমারী আর থাকতে পারছিলেন না। তাঁর ছেলে গুরুসরণ সিং ও পরিবারের বাকিরা ডাক্তারকে রোগী দেখার আবেদন জানান। সেসময় ইমার্জেন্সি বিভাগের একদিকে চেয়ারে বসে রিল দেখছিলেন ডাক্তার।
বার বার বলায় ডাক্তার বিরক্ত হন। থাপ্পর মারেন রোগীর ছেলেকে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে প্রবেশ কুমারীর। এই নিয়ে হাসপাতালে ঝামেলা তৈরি হওয়ায় হাসপাতালের সুপার ঘটনাস্থলে যান। পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়।
মৃতার ছেলে বলেন,’আমার মায়ের অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছিল। কিন্তু ওই ডাক্তার বাঁচানোর চেষ্টাই করলেন না। উল্টে থাপ্পর মারলেন আমায়। বিরক্ত হয়ে গেলেন। আমার মা তো চলে গেলেন।’
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার মদন লাল। পুলিশের তরতফে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।